Introduction about March 7, Pakistani Army’s Threat to Dhaka:
On March 1, 1971, a cricket match between Pakistan and International XI was going on at Dhaka Stadium. The only Bengali cricketer for the Pakistan XI then was Rakibul Hasan, who later became the captain of the Bangladesh national team.
According to him, there were about 40,000 spectators in the stadium. Many of them took radios with them. A major reason for this was the turbulent political situation in East Pakistan at that time. Much attention is paid to the news on the radio.
Sitting on the playground, many heard that President Yahya Khan had adjourned the session of the National Assembly. Immediately, the entire stadium erupted in protest.
“The whole stadium erupted with slogans of Joy Bangla. The game stops. The angry spectators then left the stadium and came down to the streets,” Rakibul Hasan was describing the situation to BBC Bengal that day.
On March 1, 1971, President Yahya Khan adjourned the session of the National Assembly through a radio address. Immediately people became angry. Many people left offices, courts, colleges and universities and came down to the streets to protest.
That day, Sheikh Mujibur was holding a parliamentary party meeting of the Awami League at Hotel Purbani. Within moments of hearing the announcement on the radio, thousands of people from the Dhaka University area and other places came down on the streets. The area around Hotel Purbani was full of people. Because many people knew that Sheikh Mujibur Rahman was holding a meeting there.
A strike was called in Dhaka on March 2 and across the country on March 3. Apart from this, a spontaneous strike was observed across the country from the 4th to the 6th of March. From the 4th to the 6th of March, the hartal continues in Dhaka every day from 6 am to 2 pm.
Various thoughts and concerns were working in the Pakistani government around Sheikh Mujibur Rahman’s speech on 7th March. They thought that on that day Sheikh Mujibur Rahman might sit with the Declaration of Independence.
Pakistani military officials said that if Sheikh Mujib declares independence at the public meeting on March 7, the consequences could be dire. Major General Khadim Hussain Raza was the GOC of the 14th Division of the Pakistan Army in Dhaka in 1971.
In the book ‘A Stranger in My Own Country’ Mr. King describes it in his book. He wrote that on March 6, two people from Awami League came to meet him. Major General Khadim Hussain Raza was the GOC of the 14th Division in East Pakistan in 1971.
General Raja claimed that he told those people that the soldiers were ready with weapons and tanks in the cantonment. He also arranged to listen to Sheikh Mujib’s speech directly from the race course ground. If Sheikh Mujib attacks the integrity of Pakistan and declares independence unilaterally, the soldiers will immediately march towards the public meeting and attack it.
“It will be mixed with covered soil if necessary,” General Raja mentioned in his book.
৭ মার্চের ভূমিকা, ঢাকার প্রতি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হুমকি:
১৯৭১ সালের ১লা মার্চ ঢাকা স্টেডিয়ামে পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক একাদশের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ চলছিল। তখন পাকিস্তান একাদশের একমাত্র বাঙালি ক্রিকেটার ছিলেন রাকিবুল হাসান, যিনি পরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক হন।
তার মতে, স্টেডিয়ামে প্রায় ৪০,০০০ দর্শক ছিল। তাদের অনেকেই রেডিও নিয়ে গেছে। এর একটি বড় কারণ ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রেডিওতে খবরের প্রতি অনেক মনোযোগ দেওয়া হয়।
খেলার মাঠে বসে অনেকেই শুনতে পান যে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে পুরো স্টেডিয়াম।
“জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো স্টেডিয়াম। খেলা থেমে যায়। ক্ষুব্ধ দর্শকরা তখন স্টেডিয়াম ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে,” সেদিন বিবিসি বাংলার কাছে পরিস্থিতি বর্ণনা করছিলেন রাকিবুল হাসান।
১৯৭১ সালের ১লা মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বেতার ভাষণ দিয়ে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করেন। সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। অনেকে অফিস-আদালত, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়।
সেদিন হোটেল পূর্বাণীতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক করছিলেন শেখ মুজিব। রেডিওতে ঘোষণা শোনার মুহূর্তের মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। হোটেল পূর্বাণীর আশপাশের এলাকা ছিল লোকজনে ভরা। কারণ অনেকেই জানতেন শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে সভা করছেন।
২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারাদেশে হরতাল ডাকা হয়। এছাড়া ৪ থেকে ৬ মার্চ সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত হয়। ৪ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত ঢাকায় প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল চলে।
৭ই মার্চের শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণকে ঘিরে পাকিস্তান সরকারের মধ্যে নানা চিন্তা ও উদ্বেগ কাজ করছিল। তারা ভেবেছিল সেদিন হয়তো শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বসবেন।
পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন, শেখ মুজিব যদি ৭ মার্চের জনসভায় স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ১৯৭১ সালে ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৪তম ডিভিশনের জিওসি ছিলেন।
‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ গ্রন্থে মিস্টার কিং তার বইয়ে তা বর্ণনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, গত ৬ মার্চ আওয়ামী লীগের দুইজন তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে ১৪তম ডিভিশনের জিওসি ছিলেন।
জেনারেল রাজা দাবি করেন যে তিনি ওই লোকদের বলেছিলেন যে সেনারা সেনানিবাসে অস্ত্র ও ট্যাঙ্ক নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। রেসকোর্স ময়দান থেকে সরাসরি শেখ মুজিবের ভাষণ শোনারও ব্যবস্থা করেন তিনি। শেখ মুজিব পাকিস্তানের অখণ্ডতাকে আক্রমণ করলে এবং একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলে সৈন্যরা অবিলম্বে জনসভার দিকে অগ্রসর হবে এবং আক্রমণ করবে।
জেনারেল রাজা তার বইতে উল্লেখ করেছেন, “প্রয়োজনে এটিকে আচ্ছাদিত মাটির সাথে মিশ্রিত করা হবে।”